মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ী ও ধলঘাটায় কর্ম সৃজনের লোক দিয়ে নির্মিত হ”েছ দৃষ্টি নন্দন পৃথক পৃথক কয়েকটি সড়ক। এই সব সড়ক দিয়ে যানবাহন যাতায়াতের উপযোগী করার পর এখন দাবী উঠেছে এ সড়কগুলোতে ব্রিক সলিন কাজ করার। এমনকি নতুন সাজে সাজাতে শুরু করেছে মাতারবাড়ী ও ধলঘাটা ইউনিয়নের বিধ্বস্ত সড়কগুলো।
সরেজমিনের্ মাতারবাড়ী ইউনিয়নের বিভিন্ন বিধ্বস্ত সড়ক পরিদর্শন করার সময় দেখা যায়, মাতারবাড়ীর ইউনিয়ন স্বা¯’্য কেন্দ্র থেকে মাতারবাড়ী আইডিয়াল স্কুল পর্যন্ত সড়কটি গেল বর্ষা মৌসুমে ভেঙ্গে খান্ খান্ হয়ে গিয়েছিল। যার কারণে ঐ সড়ক দিয়ে যানবাহন যাতায়াতের তিল পরিমানও জায়গা ছিল না। এছাড়া দক্ষিণ মগডেইল থেকে সমশু হাজ্বীর বাড়ী পর্যন্ত চিংড়ী প্রকল্পের পাশ দিয়ে যে সড়কটি ছিল উক্ত সড়ক্িট গেল বর্ষা মৌসুমে ভেঙ্গে একেবারে লোকজন চলাচল করতে ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়। এবার কর্ম সৃজনের লোক দিয়ে এ দুটি সড়ক নির্মাণ করায় লোকজনের জন্য দৃষ্টি নন্দন সড়ক হিসেবে ¯’ান পেয়েছে। এছাড়া সাবেক চেয়ারম্যান মাষ্টার আলতাফ উদ্দীনের বাড়ী থেকে ওয়াফদা পাড়া বেড়িবাঁধ পর্যন্ত সড়কটিও নির্মাণের কাজ চলছে পুরোদমে। অপরদিকে ফুলজান মোরা সড়ক মেরামতেরও চলছে পুরোদমে কাজ। এলাকাবাসীর একমাত্র দাবী উঠেছে এসব সড়কে ব্রিক সলিনের কাজ করে যানবাহন যাতায়াতের সুবিধা করে দেয়া। এদিকে এসব সড়ক পরিদর্শনের সময় কাজের ¯’ানে ইউ.পি চেয়ারম্যান মাষ্টার মোহাম্মদ উল্লাহ ও প্যানেল চেয়ারম্যান মুজিবুল হকের সাথে দেখা হলে চেয়ারম্যান এ প্রতিনিধিকে জানান, হাসপাতাল টু আইডিয়াল পর্যন্ত সড়কটিতে ইট বিছানোর কাজ শীঘ্রই শুরু হবে। এছাড়া তিনি আরো জানান, দক্ষি মগডেইল থেকে সমশু হাজী বাড়ী পর্যন্ত সড়কটিতেও ইট বিছানোর জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানিয়েছি। কর্তৃপক্ষ আবেদন পেয়ে উক্ত সড়ক পরিদর্শন করার পর সড়কটির মেজেন্টম্যান্ট নিয়ে গেছে। আমি আশা করি উক্ত সড়কটিতেও ব্রিক সলিনের শীঘ্রই শুরু হবে। অপরদিকে চেয়ারম্যান মাষ্টার মোহাম্মদ উল্লাহ আরো জানান, মাতার বাড়ীর পূর্বে দুটি ও পশ্চিমে ২টি স্লুইচ গেইটের জন্য আমি বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিতভাবে আবেদন করেছি। কর্তৃপক্ষ আমার আবেদন পাওয়ার পর মাতারবাড়ী বিধ্বস্ত বেড়ীবাঁধ পরিদর্শন করা শেষে সম্ভাব্য ৪টি ¯’ানে স্লুইচ গেইট নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে। প্রস্তাবিত এসব স্লুইচ গেইট নিমার্ণ না হলে আগামী বর্ষায় পুরো মাতারবাড়ী পানিতে নিমজ্জিত অব¯’ায় থাকবে।
অপরদিকে ঘুর্ণি বির্ধ্বস্ত ধলঘাটা পুরো ইউনিয়নে গেল বর্ষা মৌসুমে চলছিল জোয়ার-ভাটা। এ ইউনিয়নের প্রধান সড়ক হ”েছ নাছির মো: ডেইল থেকে সুতরিয়া বাজার হয়ে সাপ মারার ডেইল ঘাট পর্যন্ত। এ সড়কটি গেল বর্ষা মৌসুমে ভেঙ্গে খান্ খান্ হয়ে যাওয়ায় লোকজন চলাচলে দূর্ভোগের শেষ ছিল না। এ সড়কের উপর বড় বড় গর্ত হওয়ায় বর্ষা মৌসুমে স্কুল ও মাদ্রাসা পড়–য়া ছাত্র-ছাত্রীরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করতে পারেনি। সর্বশেষ গেল ইউপি নির্বাচনে কামরুল হাসান চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে বির্ধ্ব¯’ বাঁধ নির্মাণের জন্য আবেদন নিবেদন করায় বর্তমানে ধলঘাটায় চলছে শত কোটি টাকার বেড়িবাঁধ নির্মাণের কাজ। পাশাপাশি চলছে ব্লক নির্মাণের কাজও । কিš‘ একজন ঠিকাদার সরই তলা এলাকার প্রায় ১কি.মি কাজ পেয়ে কাজ না করায় উক্ত ¯’ান দিয়ে বর্ষার বৃষ্টির পানি ও সাগরের জোয়ারের পানি ঢুকে পুরো ধলঘাটা পানিতে নিমজ্জিত হওয়ার আশংকা করা হ”েছ। যার কারণে শত কোটি টাকার কাজ ও ভেস্তে যাবে। ধলঘাটার নাছির মোহাম্মদ ডেইল থেকে সুতরিয়া বাজার পর্যন্ত বয়ে যাওয়া সড়কটি গত ১৮ই মার্চ সকালে পরিদর্শন করার সময় দেখা যায়, যে সড়কটি ভেঙ্গে খান্ খান্ হয়ে গিয়েছিল উক্ত সড়কটি বর্তমানে কর্ম সৃজনের লোক দিয়ে কাজ করায় যানবাহন চলাচলের উপযোগী করে তুলেছে। এতে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে ঐ এলাকার সাধারণ লোকজন। স্কুল ও মাদ্্রাসাগামী ছাত্র-ছাত্রীদের মুখেও হাসি ফুটেছে। এছাড়া পানিরছড়া সড়কটিও কর্মকসৃজনের লোক দিয়ে কাজ শেষ করেছে। এ ২টি সড়ক ধলঘাটাবাসীর কাছে দৃষ্টিনন্দন হয়ে থাকবে। এদিকে খাতুর বাপের পাড়া থেকে সাপ মারার ডেইল ঘাট পর্যন্ত বিধ্বস্ত সড়কে সাড়ে ১৩ লাখ টাকার যে কাজ হয়েছে তা জনগণের কাছে দৃষ্টিনন্দন হয়ে থাকবে। সাফ কথা ধলঘাটা এখন নতুন সাজে সাজাতে শুরু করেছে চেয়ারম্যান কামরুল হাসান। এদিকে চেয়ারম্যান কামরুল হাসানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, সরইতলা নামক ¯’ানে যে ১ কি.মি বেড়িবাঁধের কাজ হ”েছ না তা আশা করি শীঘ্রই শুরু হবে। ##
পাঠকের মতামত: